TaQwa+

TaQwa+ ক্রেতার সন্তুষ্টিতে আমরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ
(15)

09/10/2024

আজহারীর উপর বিএনপি নেতার হামলা, ক্ষেপলেন আমির হামজা | ৮/১০/২৪-গংগাচড়া, রংপুর ওয়াজ |

09/10/2024

১৭বছরের ইতিহাস। সোহরাওয়ার্দী উদ্যান।

09/10/2024

১৭বছরের ইতিহাস। সোহরাওয়ার্দী উদ্যান

09/10/2024

Live- বক্তব্য রাখছেন সম্মানিত আমীরে জামায়াত জননেতা ডা. শফিকুর রহমান

07/10/2024

বর্তমান সমাজে বিশাল বড় একটা চ্যালেঞ্জ হচ্ছে, বিয়ের পর বাবার পরিবারে স্ত্রীকে নিয়ে থাকা। এই সংঘাত যৌথপরিবারের এক চিরচেনা ...
19/09/2024

বর্তমান সমাজে বিশাল বড় একটা চ্যালেঞ্জ হচ্ছে, বিয়ের পর বাবার পরিবারে স্ত্রীকে নিয়ে থাকা। এই সংঘাত যৌথপরিবারের এক চিরচেনা রূপ। আমি বহু দ্বিনি ভাইকেও এই সংঘাতের চিপায় অসহায়ভাবে আটকে থাকতে দেখেছি। করণীয় কী?

সমাধান এতো সহজ নয় বিশেষ করে এই জাহেলিয়াতের যুগে। এই জন্য আমি প্রায়ই বলি,

"হালাল খাবার না পেলে হারামে ঝাপিয়ে পরবো তাই আমার বিয়ে করা দরকার।" এই টেন্ডেন্সি আপনাকে সাংসারিক জীবনে লম্বা সময় সারভাইভ করতে দিবে না। চিন্তার পরিধি বৃদ্ধি করে যথা সম্ভব প্রস্তুতি নিয়ে তারপর বিয়ে করুন।"

প্রতিটা মেয়ের কিছু ব্যাসিক চাহিদা থাকে যেমন। উদাহরণস্বরূপ- আমার এমন একটা সংসার হবে যেখানে,

১. আমার একটা নিজের ঘর থাকবে, যা আমি স্বাধীনভাবে সাজিয়ে নিবো।
২. আমার নিজের একটা পাকঘর থাকবে, যেখানে আমি আমার ইচ্ছেমত নিত্যনতুন রেসিপি ট্রাই করতে পারবো। পাছে তেল, চিনি, নুন অপচয়ের খোঁটা দেয়ার কেউ থাকবে না।
৩. একটা প্রাইভেট স্পেস থাকবে যেখানে আমার স্বামী ব্যতীত অন্যকেউ জবাবদিহি চাইতে আসবে না।
৪. স্বামীর কাছে যে কোনো ছোটোখাটো আবদার বড়সড় করে দাবী করে বসলে পাছে কেউ "ন্যাকামো" বলে তাচ্ছিল্যের তীর ছুড়বে না।
৫. স্বামীর সাথে একান্তে সময় কাটালে বাঁকা চোখে কেউ তাকিয়ে থাকবে না৷
৬. সামাজিকতার নামে গায়রে মাহরাম আত্মীয়দের সামনে স্বামীর পরিবার ঠেলে পাঠাবে না৷
৭. প্রাপ্ত বয়স্ক দেবরকে প্রতিদিন খাবার বেড়ে দেয়ার ছুঁতোয় তার সামনে যেতে হবে না।
৮. শাশুড়ী ননদদের নোংরা রাজনীতির স্বীকার হয়ে স্বামীর চক্ষুশূল হতে হবে না।
৯. যেখানে আমাকে মূল্যবান নেয়ামত ভাবা হবে, কাজ করার যন্ত্র ভাবা হবে না।
১০. যেখানে আমাকে এবং আমার পরিবারকে যথাযথ মর্যাদা দেয়া হবে, লাঞ্চিত করা হবে না।

ইত্যাদি ইত্যাদি, নানারকম স্বপ্নে তারা বিভোর। আর এগুলো তাদের হালাল যৌক্তিক স্বপ্ন। যেখানে নসিহা করার অধীকার কারো নেই। অথচ খুব সামান্য পরিমাণ মেয়েই তাদের এই মৌলিক চাহিদার কাছাকাছি পৌছতে পারে। বিশাল একটা অংশই হয় পুরোপুরি বঞ্চিত ও লাঞ্চিত।

আপনাদের জানা আছে কিনা আমি জানি না। তবে বাংলাদেশের বিশাল সংখক মেয়ে বিয়ে করতে ভয় পায়, এতোটাই ভয় পায় যে বিয়ের নাম শুনলেই তারা আতকে ওঠে। কারন সে তার মায়ের সাথে একটা লম্বা সময় তার বাবার বাড়ির পরিবার থেকে এমন কিছু ঘটতে দেখে যা সে প্রতিটা মুহূর্ত একটা ভয়ংকর দুঃস্বপ্নভেবে ভুলে যেতে চায়। কিন্তু সম্ভব হয় না।

©

খুনি হাসিনার পতনের এক দফা দাবিতে রাজধানীর শহীদ মিনারে।  #আলহামদুলিল্লাহ
03/08/2024

খুনি হাসিনার পতনের এক দফা দাবিতে রাজধানীর শহীদ মিনারে। #আলহামদুলিল্লাহ

এবার মুক্তির মিছিলে যোগ হলো আলেমরাও.... #আলহামদুলিল্লাহ
02/08/2024

এবার মুক্তির মিছিলে যোগ হলো আলেমরাও.... #আলহামদুলিল্লাহ

31/07/2024

তুমি কি এখন স্বপ্নভঙ্গ কেউ
একাকী কোথাও আহত পাখির শোক
ছলছল চোখে এলোমেলো করো ঢেউ
তুমি কি এখন শরাহত কোনো লোক!

-মতিউর রহমান মল্লিক

17/07/2024

চাহিদার তুলনায় উৎপাদন বেশি, উৎপাদন খরচ মাত্র ১০ টাকা তবু আলুর কেজি ৬০ টাকাদেশে আলুর সর্বোচ্চ বার্ষিক চাহিদা ৮০ লাখ টন। আ...
13/07/2024

চাহিদার তুলনায় উৎপাদন বেশি, উৎপাদন খরচ মাত্র ১০ টাকা তবু আলুর কেজি ৬০ টাকা

দেশে আলুর সর্বোচ্চ বার্ষিক চাহিদা ৮০ লাখ টন। আর সদ্য বিদায় নেয়া ২০২৩-২৪ অর্থবছরে দেশে আলু উৎপাদন হয়েছে ১ কোটি ১০ লাখ টনের কাছাকাছি। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের এ পরিসংখ্যান বলছে, গত অর্থবছরে বাংলাদেশে আলু উৎপাদন হয়েছে চাহিদার চেয়ে অন্তত প্রায় ৩০ লাখ টন বেশি। আর কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের তথ্য অনুসারে, এসব আলু উৎপাদনে কেজিপ্রতি খরচ পড়ে মাত্র ১০ টাকা ৫১ পয়সা। যদিও রাজধানীর খুচরা বাজারে এখন প্রতি কেজি আলু বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা দরে।

06/07/2024

গত ৪৮ ঘন্টায় ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় অন্তত ৩৫ বাচ্চা নিখোঁজ হওয়ার খবর শোনা যাচ্ছে। যাদের মধ্যে মাদ্রাসা শিক্ষার্থীই বেশি।

03/07/2024

কবিতা : প্রিয় সন্তান আবৃত্তি : আহমাদ আবু জাফর

আজ থেকে ২০০ বছর পর আমার বাড়িতে, আমার ঘরে যারা বসবাস করবে, যারা আমার জায়গা জমি ভোগ করবে আমি তাদের চিনিনা। তারাও আমাকে চিন...
02/07/2024

আজ থেকে ২০০ বছর পর আমার বাড়িতে, আমার ঘরে যারা বসবাস করবে, যারা আমার জায়গা জমি ভোগ করবে আমি তাদের চিনিনা।
তারাও আমাকে চিনবেনা।
কারন তাদের জন্মের অনেক আগেই আমি কবরবাসি হয়ে যাব।
আর ততদিন মুছে যাবে আমার নাম নিশানা।
কবরটাও নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে।
আমার সন্তানরা যতদিন বেঁচে থাকবে ততদিন তারা হয়ত মনে পড়লে দীর্ঘ নিশ্বাস ফেলবে!

কিন্তু তাদের মৃত্যুর পর তাদের সন্তানরা তাদের যতটুকু মিস করবে আমাকে ততটুকু মিস করবে না।
হয়ত বাবার কবর জিয়ারত করে দোয়া করার সময় দাদার জন্যও একটু করবে।
কিন্তু তার পরের প্রজন্ম আর মনে রাখবেনা।

প্রায় ২০০ বছর আগে মারা গেছে আমার দাদার দাদা।
যিনি আমার পূর্ব পুরুষদের জন্য ঘর বাড়ি, জায়গা জমি রেখে গেছেন। একই বাড়ি, একই জায়গা জমি আমরা এখন ভোগ করছি।
কিন্তু উনার কবরটা কোথায় সেটা আমরা জানিনা।
হয়ত আমার দাদার পিতা জানতেন।
কিন্তু দাদার পিতা তো বেঁচে নেই, দাদাও বেঁচে নেই।

তবে সাত পাঁচ করে যে সম্পদের পাহাড় গড়েছেন সেটা কবরে নিয়ে যেতে পারবেননা।
আর যাদের জন্য রেখে যাচ্ছেন তারা ও আপনাকে মনে রাখবেনা এটা নিশ্চিত!

অন্যের সম্পত্তি জবর দখল করে ভাবছেন আপনি জিতে গেছেন?
সুদ, ঘুষ, কমিশন বাণিজ্য করে সম্পদের পাহাড় গড়ে ভাবছেন আপনি জিতে গেছেন?
তাহলে আপনি আস্ত একটা বোকা !
এই শব্দটা ব্যবহার করার জন্য স্যরি!
ক্ষমা করবেন।
আমাদের সময় খুব কম! তাই এই সুদ, ঘুষ ,দুর্নীতি ক্ষমতার অপব্যবহার , সম্পত্তি নিয়ে বিবাদ ইত্যাদি । কোন লাভ নেই ভাইজান ।। সময় থাকা কালীন ভালো হয়ে কবরের খোরাক সংগ্রহ করুন ঐটাই বুদ্ধিমানের কাজ।। আসুন নিজেকে সৎ মানুষ হিসেবে তৈরি করি পরকালের জন্য পূর্ণতা সন্ধান করি।। ঐটাই আপনার জন্য প্রকৃত সম্পদ।।

আল্লাহ রাব্বুল আলামীন আমাদের সবাইকে ক্ষমা করে দাও
আমিন।




(সংগৃহীত)

প্রিয় কবির চির বিদায়। ওহে দয়াময় আল্লাহ ক্ষমা করে দাও।কবি আসাদ বিন হাফিজ সাহেব দুনিয়ায় সফর শেষ করেছেন। ইন্না-লিল্লাহি ওইন...
01/07/2024

প্রিয় কবির চির বিদায়।
ওহে দয়াময় আল্লাহ ক্ষমা করে দাও।

কবি আসাদ বিন হাফিজ সাহেব দুনিয়ায় সফর শেষ করেছেন।

ইন্না-লিল্লাহি ওইন্না ইলাইহে রাজিউন।
আল্লাহ তায়ালা উনার সবটুকু ভালো কাজ কবুল করে জান্নাত দান করুন। আমিন।

‘প্রত্যেক জাতির জন্য আমি কোরবানির নিয়ম করে দিয়েছি; যাতে তারা আল্লাহর নাম স্মরণ করতে পারে, যে সমস্ত জন্তু তিনি রিজিক হিসে...
14/06/2024

‘প্রত্যেক জাতির জন্য আমি কোরবানির নিয়ম করে দিয়েছি; যাতে তারা আল্লাহর নাম স্মরণ করতে পারে, যে সমস্ত জন্তু তিনি রিজিক হিসেবে দিয়েছেন তার উপর।'

-(সুরা হজ্জ : আয়াত ৩৪)

উম্মে সালামা (রাঃ) থেকে বর্ণিত আছে যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন: “তোমাদের কেউ যখন যিলহজ্জ মাসের চাঁদ দে...
07/06/2024

উম্মে সালামা (রাঃ) থেকে বর্ণিত আছে যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন: “তোমাদের কেউ যখন যিলহজ্জ মাসের চাঁদ দেখে এবং সে ব্যক্তি যদি কোরবানি করতে ইচ্ছুক হয় তাহলে সে যেন চুল ও নখ কাটা থেকে বিরত থাকে”।

আজ জিলহজ্বের চাঁদ উঠার সমূহ সম্ভাবনা রয়েছে। সুতরাং নিজে ফ্রেশ হয়ে নেই অন্যকে জানিয়ে উৎসাহিত করে সাওয়াব নেই।


Ahmadullah

একটি সংসার অসুখী হবার পেছনেঅনেক কারণ থাকতে পারে! 💔কিন্তু সুখী হবার পেছনে একটাই কারণ আর তা হলো স্বামী এবং স্ত্রীর মধ্যে ই...
05/06/2024

একটি সংসার অসুখী হবার পেছনে
অনেক কারণ থাকতে পারে! 💔

কিন্তু সুখী হবার পেছনে একটাই কারণ আর তা হলো স্বামী এবং স্ত্রীর মধ্যে ইনসাফপূর্ণ বোঝাপড়া।🌸❤️

দুইজনের মধ্যে বোঝাপড়াটা তখনই কাজ করবে যখন সেখানে ইনসাফ বা সুবিচার থাকবে।যখন সেই বিচার ব্যবস্থাপনাটা একতরফা হয়ে যায় তখনই বিরাট গন্ডগোল বাধে! সাধারণত আমাদের সমাজের পরিবার গুলোতে এই সুবিচারের খুব অভাব দেখা যায়।

নিরানব্বই ভাগ ছেলেই মায়ের দিকে বেশি ঝুঁকে যায় যিনি তার স্ত্রীর শাশুড়ি হন। এটা খুব স্বাভাবিক যেহেতু রক্তের সম্পর্ক।কিন্তু এটাও মনে রাখা জরুরি যে একতরফা কথা না বলে দুইজনের মধ্যে (স্ত্রী এবং মা)
ব্যালেন্স রেখে চললে ব্যাপারটা অনেক সহজ হয়।

মাকে কষ্ট দেয়া যাবে না আবার স্ত্রীর সম্মানহানী হবে এমন কথা কিংবা কাজ করা যাবে না, এটা মাথায় রেখে চললেই সংসার জীবন সুন্দর হয়।
যখন কোন মেয়ে একটি নতুন সংসারে আসে স্বভাবগতো ভাবেই সেখানে সে নিজেকে মানিয়ে নেয়ার চেষ্টা করে। ব্যতিক্রম হয়তো আছে, ব্যতিক্রমের কথা বলছি না।

অনেক চাকরীজীবী, শিক্ষিত মেয়েকেও দেখেছি মানিয়ে নিয়ে সহ্য করে যেতে। এই মানিয়ে নিতে নিতে এবং একতরফা আচরণ পেতে পেতে একসময় সে
মেন্টালি সিক হয়ে পড়ে!
একটা বেলুনে বাতাস ভরতে থাকলে একসময় সে আর নিতে পারে না, ফেটে যায়।এবং এই ফেটে যাওয়াটা নিঃশব্দে হয় না। যথেষ্ট শব্দ করেই ফেটে যায়!

মেয়েটির বেলাতেও তাই হয়, তার মেনে নেয়ার লিমিট ক্রস করে যায় এবং তখন সে তার সম্পর্কে আর কোন নেগেটিভ কথা সহ্য করতে পারে না। এবং যখন সে তার বিপরীতে বলা এসব কথার প্রতিবাদ করে তখন ঐ লোকগুলি যারা মেয়েটিকে কথা শোনাতে অভ্যস্ত ছিল বলে তোমাকে তো কিছুই বলা যায় না, তুমি রিয়্যাক্ট করো।

যে কোন মানুষের ব্রেইনের একটা নির্দিষ্ট ধারণ ক্ষমতা আছে, এর বাইরে সে নিতে পারে না। যখন তাকে অতিরিক্ত দেয়া হয় তখন সে ফেইল করে,তার কার্যক্ষমতা হারিয়ে ফেলে আর তখনই তাকে বলা
হয় মানসিক রোগী!

ইসলাম নারীদের দায়িত্ব পুরুষদের উপর দিয়েছে। কিভাবে মা এবং স্ত্রীর সাথে আচরণ করতে হবে সেটাও বলে দিয়েছে।

মায়ের পায়ের নিচে সন্তানের জান্নাত (একদা মু‘আবিয়াহ বিন জাহিমাহ)রাসূলুল্লাহ (সাঃ)-এর খেদমতে এসে জিজ্ঞাসা করলেন, ‘হে আল্লাহর
রাসূল (সাঃ)! আমি যুদ্ধে যেতে চাই। আর এ ব্যাপারে আপনার পরামর্শ কামনা করছি।

উত্তরে তিনি বলেন, তোমার মা জীবিত আছেন কি? সে বলল, হ্যাঁ। তিনি বললেন, তাহলে তাঁর খিদমতে লেগে থাক। কেননা জান্নাত তাঁর দু‘পায়ের নিচে
(নাসাঈ, হা/৩১০৪; সনদ হাসান।)

আবার স্ত্রীকেও জিজ্ঞেস করা হবে, তোমার স্বামী কেমন ছিল। রাসূল (সা.) বলেন তোমাদের মধ্যে সেই ভালো যে তার পরিবারের কাছে ভালো। আর
আমি আমার পরিবারের কাছে তোমাদের চেয়ে উত্তম।
(আত-তিরমিজি)।

তাই একজন পুরুষকে একতরফা আচরণ থেকে বিরত থেকে সংসারের সুখের জন্য ইসলাম অনুযায়ী দুই জনের মধ্যে সুবিচার করেই চলতে হবে।

#আলহামদুলিল্লাহ

"আমার বাবা চাকরিজীবী। আমার মা গৃহিণী। মা বাবার ওপর নির্ভরশীল৷ একদম ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র প্রয়োজনে বাবার ওপর নির্ভরশীল হয়ে থা...
30/05/2024

"আমার বাবা চাকরিজীবী। আমার মা গৃহিণী। মা বাবার ওপর নির্ভরশীল৷ একদম ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র প্রয়োজনে বাবার ওপর নির্ভরশীল হয়ে থাকতে হয়। আমি আমার স্বামীর ওপর এমন নির্ভরশীল হতে চাই না। তাই আমি চাকরি করবো।"

এই অনুচ্ছেদটি এদেশের অনেকগুলো পরিবারের চিত্র। একটু খেয়াল করে দেখুন, 'নির্ভরশীল' শব্দটিকে। এই শব্দটি পরিবারের মেয়েটির মধ্যে চাকরি করার স্পিরিট যোগান দিয়েছে। কিন্তু এই ভাবনাটি কি আসলেই যথার্থ? তার মা কি আসলেই তার বাবার ওপর নির্ভরশীল?

দেখেন, নির্ভরশীলতা তখন আসে যখন সেখানে বিনিময় থাকে না। যেমন, আমরা সূর্যের ওপর নির্ভরশীল। এই নির্ভরশীলতা প্রয়োজনীয়, সার্ভাইভালের জন্য। বিনিময়ে কিন্তু আমরা সূর্যকে কিছু দেই না। তাই, আমরা সূর্যের ওপর নির্ভরশীল কথাটা যথাযথ।

এখন দেখুন, এই পরিবারটির বেলায় কী হচ্ছে। অর্থ উপার্জন বাবা করছে এটা সঠিক। কিন্তু মা কী করছে দেখুন। রান্নাবান্না, ঘর-দোর সুন্দর রাখা, বাচ্চাদের সুন্দর বেড়ে ওঠা নিশ্চিত করা, স্বামীর শারিরিক ও মানসিক চাহিদা নিশ্চিত করা আরো কতো কী! এই কাজগুলো যদি তিনি না করতেন, তবে কী এই পুরুষ চলতে পারতেন? তাহলে তো দেখা গেলো, এই পুরুষও পাল্টা এই নারীর ওপর নির্ভরশীল। এবং, এই পুরুষেরই নারীটির ওপর নির্ভরশীলতা বেশি! তবে একতরফাভাবে মেয়েটি কেন ভাবলো যে, তার মা তার বাবার ওপর নির্ভরশীল?

চিন্তার মানদণ্ডের কারণে। মেয়েটি অর্থকে মানদণ্ড বানিয়েছে। অর্থ দিয়ে যা মাপা যায়, তার মূল্য আছে, অর্থ দিয়ে যা মাপা যায় না, তার মূল্য নেই। কিন্তু একটু খেয়াল করলে দেখা যাবে মায়ের কাজগুলোরও অর্থমূল্য আছে। যদিও অর্থমূল্য নির্ধারণ করা অযৌক্তিক, কারণ মা হচ্ছেন মা। কিন্তু তর্কের খাতিরে আমরা একটুখানি করে দেখি।

আপনি হোটেলে একবেলা খাবার খান। মা যেই যেই খাবার রান্না করেন, সেটা একটা ভালো-পরিচ্ছন্ন পরিবেশনায় খেতে হলে ঐ মানের হোটেলে ১০০ টাকার কাছাকাছি লেগে যাবে। ঐ হোটেলের বাবুর্চির স্যালারি কতো? ১০ হাজার? আপনার মা তো ৩০ দিনে ৯০ বেলা ক্লান্তিহীন রান্না করছেন, আপনাকে ডেকে নিয়ে খেতে বসাচ্ছেন, খাবার শেষে ধোয়া-টোয়ার কাজও করছেন, তাহলে তাঁকে কতো স্যালারি দেবেন?

ঝাড় দেয়া, ঘর মোছার জন্য একটা বুয়া রাখেন তো। দেখবেন সে মাসে পাঁচ হাজার টাকা দাবি করবে। কিন্তু, তারপরও খাটের নিচে ময়লা থেকে যাবে, শোকেজের কোণায় ধুলো জমে থাকবে। কিন্তু, মা কতো যত্ন নিয়ে ঘর ঝেড়ে-ঝুড়ে রাখছেন, আবার মুছছেন, তাহলে মা'কে কতো স্যালারি দেবেন?

প্রাইভেট টিউটরকে মাসে কতো টাকা স্যালারি দেন? ৬-৭ হাজার? যেই মা কথা বলা শেখালো, ভালো-খারাপ চেনালো, খাবার খেতে, ওয়াশরুমে যেতে, হাঁটতে, পড়তে, লিখতে শেখালো, তার কতো স্যালারি হবে?

হাসপাতালে নার্স কিংবা ডাক্তারকে ঠিক কতো টাকা দিলে তারা আপনার শিয়রে সারারাত বসে পট্টি দিবে মায়ের মতো?

এরপর এই একই নারী তো স্বামীর হক্ব আদায় করছে। শারিরিক হক্ব আদায় করছে। মানসিক প্রশান্তি দিচ্ছে। দুঃশ্চিন্তা দূর করার চেষ্টা করছে। সমস্যা শুনছে, সাজেশন দিচ্ছে। পুরো ফ্যামিলিকে মায়া দিয়ে আগলে রাখছে এই নারী। মায়া তো এবস্ট্রাকট জিনিস, এটার অর্থমূল্য তো নির্ধারণ করতে পারবেন না।

তাহলে মায়ের কাজের অর্থমূল্য নেই, এমনটাও কী বলা গেলো? অর্থাৎ, আমার বাবা চাকরি করছে তাই আমার মা তার ওপর নির্ভরশীল এই কথাটা একেবারেই অবান্তর। এইযে, বাবা অর্থ সরবরাহ করছে, ভরণপোষণ করছে, এটা তার অধিকার। এই অধিকার আল্লাহ নির্ধারণ করে দিয়েছেন। এতে নারীর জন্য লজ্জার কিছু নেই। এটা তার প্রাপ্যের চেয়ে বরং অনেক কম! তাই নতজানু হওয়ারও মোটেও কিছু নেই। (নতজানু এই অর্থে যে, আমি টাকা রোজগার করতে পারছিনা, তাই আমি ছোটো হয়ে থাকবো।)

কিন্তু আলাপটা এখানেই শেষ নয়। আরেকটি অনুচ্ছেদে চলে যাই।

"আমার বাবা চাকরিজীবী। আমার মা গৃহিণী। মা বাবার ওপর নির্ভরশীল। বাবা মাকে যেমন-তেমন করে ট্রি_ট করে, খোঁ_টা দিয়ে কথা বলে, মতামতের মূল্য দেয় না। আমি এরকম আমার স্বামীর ওপর নির্ভরশীল হয়ে এসব সহ্য করতে চাই না। তাই আমি চাকরি করবো।"

দেখুন, গল্পটা একেবারে ১৮০ ডিগ্রি ঘুরে গেলো। এবার সমস্যাটা আর চিন্তার মানদণ্ডে না। এবার সমস্যাটা পুরুষেরই অবদান। এই বাবা তার মেয়ের মধ্যে পুরুষ সম্পর্কে একটি বিরূপ ধারণা সেট করে দিয়েছে, যা তাকে আল্লাহর তৈরি ফিতরাতের বিরুদ্ধে যেতে বাধ্য করছে।

আমাদের সমাজের পুরুষদের একটা বিশাল অংশ প্রথম অনুচ্ছেদের মেয়েটির মতো চিন্তা করে। তারা ভাবে, মেয়েরা চাকরি করে না বলে তারা আমাদের ওপর নির্ভরশীল। তাদেরকে যাচ্ছেতাই ভাবে ট্রিট করা যাবে। দুইদল-ই আল্লাহর দেয়া ফিতরাত অস্বীকার করছে।

ইস_লা-মী রাষ্ট্রে এসব সমাধানের ব্যবস্থা আছে। খলি-ফার আদালতে বিচার তোলা যাবে। পুরুষটাকে সো_জা করা যাবে, সিরিয়াস কেসে তা-লা_ক পর্যন্তও যাবে। কিন্তু, বর্তমান সমাজের প্রেক্ষাপটে? এখন তো খলি_ফাও নেই, ইস-লামী আদালতও নেই, গ্রাম্য বিচার-শালিসে তো মহিলা বাই ডিফল্ট অপরাধী।

ঠিক সেই জায়গাটিতেই একটা চাকরিপ্রিয় ক্যারিয়ারিস্টিক নারীপ্রজন্ম গড়ে উঠছে। তারা হয় প্রথম কেইসের অথবা দ্বিতীয় কেইসের। প্রথম কেইস হলে সেটা তাদের চিন্তার দৈন্যতা। দ্বিতীয় কেইস হলে তারা পরিস্থিতির স্বীকার।

আমি সমাধান আলোচনা করবো না। আমি অতোবড়ো মাথাওয়ালা নই। আমি এই ছোটো-খাটো প্রবন্ধের শেষে একটি অনুচ্ছেদে শুধুমাত্র দুটো কেইসের এন্ড রেজাল্ট দেখানোর চেষ্টা করবো।

নারী চাকরিতে আসলে আদতে সমস্যাটা কোথায়? সমস্যা আসলে বিবিধ।

প্রথমেই চলে আসে ফিতরাত নষ্ট হওয়ার ব্যাপারটি। এই পৃথিবীতে প্রতিটি বস্তুর স্বতন্ত্র জায়গা আছে, প্রতিটি প্রজাতির নিজস্ব অবস্থান আছে। ব্যতিক্রম নয় পুরুষ আর নারীও। পুরুষ এবং নারী শারিরিক ও মানসিকভাবে সম্পূর্ণ ভিন্ন। এই ভিন্নতাও সুন্দর এবং এমনভাবে করা যে, তারা পরস্পরের জন্য উপকারী বলে প্রতীয়মান হয়। তারা এমনভাবে সহাবস্থান করবে যাতে ন্যাচার ভায়োলেট না হয় এবং পরস্পরের অধিকার ও কর্তব্যের জায়গাটিও ঠিক থাকে।

নারী ও পুরুষ কে কোথায় অবস্থান করবে, এই ব্যাপারে নির্ধারণ করতে পারেন কে? অবশ্যই তাদের স্রষ্টা তাইতো? তাহলে আমরা নারী-পুরুষের অবস্থান কী হবে, তাদের এক্টিভিটি কেমন হবে, এটা জানবো কুরআন এবং হাদীস থেকে। ইসলামে জেনারেল কেইসে নারীদের চাকরি করার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে।

কেন সেটার কিছু নমুনা বলি।

প্রথমত, এটা তার জন্য একটা ফিজিকাল বার্ডেন। একজন নারী মাসে ৬-৭ দিন অসুস্থ থাকে। এইসময় কি তার চাকরি অফ করার সুযোগ আছে? তাকে তো ঠিকই অফিসে যেতে হবে, সারাদিন কাজ করতে হবে। ঘরে থাকলে সুবিধা কী হতো? এখানে তার শ্বাশুড়ি আছে কিংবা মেয়ে আছে, কিংবা স্বামী আছে। তারা জানে এবং বোঝে। এখানে তার ফুসরতের সুযোগ আছে। অফিসে আছে?

আচ্ছা, প্রেগনেন্সি লিভ কয় মাসের? ৬ মাসের। শুরুর ৪ মাস? প্রেগনেন্সি নিয়েই তো অফিস করতে হয়। মেডিকেল রিসার্চ ঘেঁটে দেখবেন প্রেগনেন্সি নিয়ে অফিস করার স্বাস্থ্যঝুঁকি।

কিছু নারী আছে, যারা সন্তানই নিতে চান না ক্যারিয়ারের চাপে। ফলে দেখা যায়, বয়স বেড়ে গেলে সন্তান নিতেও জটিলতা তৈরি হয়। কেউবা অক্ষম হয়ে পড়ে। হাইলি ফিজিকাল বিভিন্ন পেশা, যেমন - সেনা_বাহিনী, খেলা_ধুলো ইত্যাদিতে প্রফেশনাল নারীদের মধ্যে বন্ধ্যাত্ব দেখা যায় অনেক বেশি!

এরপর আসে, সন্তানের ঠিকঠাক বেড়ে ওঠার ব্যাপারটি। ক্যারিয়ারিস্টিক নারীরা ছোটো বাচ্চাকে বুয়ার কাছে রেখে চাকরিতে বেরিয়ে পড়তে দেখা যায়। এতে কী হয়? না সন্তান মায়ের যত্ন-আত্তি পায়, না পায় মায়ের শিক্ষা। সে পায় বু-য়ার শিক্ষা আর তার অবহেলা। প্রায়ই দেখা যায় ছোটো বাচ্চাদেরকে বুয়ার নির্যা_তন করার নিউজ। এই ক্ষতিটা কি ছোটো কোনো ক্ষতি?

একটা নারী_বাদী টোন আছে, "নারীর কাজ কি শুধু বাচ্চা উৎপাদন আর লালন-পালন করা নাকি?" আমি এখানে 'শুধু' শব্দটার বিরোধিতা করি। অবশ্যই নারীর কাজ শুধু বাচ্চা উৎপাদন, লালন-পালন করা না। নারী অনেক কাজই চাইলে করতে পারে। কিন্তু, এই কাজটা স্পেশালি নারীকে অর্পণ করা হয়েছে এবং স্বয়ং আল্লাহ-ই অর্পণ করেছেন। বাচ্চা জন্মদানের উপযোগী শরীর তাকে দিয়েছেন আর লালন-পালনের উপযোগী মন। এটা অস্বীকার করা মানে প্রকৃতিকে অস্বীকার করা।

আসলে চাকরি নিয়ে আমার কোনো সমস্যাই নেই। চাকরি করুক, কিন্তু এই ক'টি বিষয় নিশ্চিত করতে পারবে কি?

১. যথাযথ পর্দা।

২. মাহরামসহ সফর।

৩. খুব বেশি প্রয়োজন ব্যতীত নন-মাহরামের সাথে ইন্টারেকশন থেকে বেঁচে চলা।

৪. স্বামীর হক্ব আদায় করা।

৫. সন্তানের হক্ব আদায় করা।

একজন চাকরিজীবী নারীর জন্য এর যেকোনো একটিও পরিপূর্ণ করা আজকের সমাজের প্রেক্ষাপটে অন্তত সম্ভব নয় বলে আমি মনে করি।

যথাযথ পর্দা আপনি কতোক্ষণ করবেন? কোথায় করবেন? কর্পোরেট জবগুলো ক্রমাগত ইসলা-মো_ফোবিক হচ্ছে। আপনি নিকাব করলে বলবে, "তাহলে আর চাকরি করার মূল্য কী?" এই বাক্যেরও একটা তাৎপর্য আছে, যদি বোঝেন। অনেক কর্মক্ষেত্র আছে, নিকাবই এলাউড না। পরীক্ষা দেবেন, নিকাব এলাউড না। প্রেজেন্টেশন দেবেন, নিকাব এলাউড না। তাহলে যথাযথ পর্দা ম্যান্টেইন হচ্ছে?

এরপর আসেন মাহরামসহ সফর। এই জায়গায় কী করবেন আপনি? আপনার স্বামীর চাকরি এক জায়গায়, আপনার অন্য জায়গায়। সে আপনাকে রোজ অফিসে পৌঁছে দিতে পারবে না। আপনাকে চলাফেরা করতে হচ্ছে একাকী। এই হা_য়ে-নার দেশে আপনার সেফটি কী? আপনার চাকরি আপনাকে রাস্তায় সিকিউরিটি দিচ্ছে? বাসে আপনি মলা-স্টে_টেড হলে, রাস্তায় আপনি টিজড হলে, কার ক্ষতি? অবশ্যই চাকরি না করা এর সমাধান না বলতে পারেন, কিন্তু যতোদিন সমাধান না আসছে, ক্ষতি মেনে নেবেন?

নন-মাহরামদের সাথে ইন্টারেকশন ঠেকাতে পারবেন? আপনার অফিসের বস থেকে শুরু করে, সহকর্মী, পিয়ন, সবই তো নন-মাহরাম। তাদের সাথে আপনার কাজ করা লাগছে পাশাপাশি বসে। টিম করে প্রেজেন্টেশন দেয়া লাগছে। প্রয়োজনে-স্বল্প প্রয়োজনে কল-মেসেজিং করা লাগছে। ঠেকাতে পারছেন কই?

স্বামীর হক্ব আদায় করা কী সত্যিই সম্ভব? সারাদিনের অফিসের ক্লান্তির পর আপনার কি রেস্টের প্রয়োজন নেই? অবশ্যই আপনি বাসার স্ট্রেসের সাথে অফিস & জার্নির স্ট্রেসকে মেলাবেন না দয়া করে। দুটো যে কতটা ভিন্ন তা আপনি জানেন। আপনার ইচ্ছে হবে না মোটেও এতো স্ট্রেসের পর স্বামীর সাথে একটু ভালো করে কথা বলতে। অফিসে যদি প্যারা থাকে আর মেজাজ বিগড়ে থাকে, তাহলে তো আরো না।

আর সন্তান? সে তো বড়ো হচ্ছে বু-য়ার কাছেই...

এইসব আলোচনা আমাদেরকে তৃতীয় একটি পরিবারের প্রতিচ্ছবি দেখায়।

"আমার বাবা-মা দুজনেই চাকরিজীবী। দুজনে দিনভর অফিসে থাকেন। রাতে আসেন। এসে দুজনে যান্ত্রিক তরীকায় আমার খোঁজ নেন। তারপর ফ্রেশ হয়ে খাওয়াদাওয়া করেন। তারপর একদফা ঝগড়া করেন। বাবা-মা দুজনে রাতেও পরবর্তী দিনের জন্য অফিসের কাজগুলো দেখেন। আমি সারাদিন একা ঘরে বসে থাকি। হাসিনা খালা দুপুরে খাইয়ে দেন। আমি টিভি দেখি আর বাবা-মায়ের অপেক্ষা করি। আমার খুব কান্না পায়। আমি কাঁদলে খালা আমাকে বকা দেন।"

দেখেন, আমি কাউকে দোষ দিচ্ছি না। আমি দুটো সিনারিও থেকে একটা কনক্লুশন সিনারিওতে গেছি। অনেক বেশি জেনারালাইজড হয়ে গেছে হয়তো। কিন্তু, রেজাল্ট এর কাছাকাছিই আসবে। আমি কোনো সমাধান দেখাইনি। শুধু দেখিয়েছি, যেই সমাধানটা ফে-মি_নিজম প্রস্তাব করেছে, সেটা ইসলামের সাথে সাংঘর্ষিক এবং সেটা আদতে প্র‍্যাক্টিকালও না।

এই জা-হি_লি সমাজে সবচেয়ে বেশি করণীয় আছে পুরুষদের। আপনারা শপথ নেন যে, আপনারা পুরুষ হবেন। আল্লাহ আপনার স্ত্রীর ভরণপোষণ আপনার ওপর বাধ্যতামূলক করেছেন, সেই দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করেন। আপনি এইটা তার ওপর দয়া করছেন না, এটা তার অধিকার, এই মানসিকতা লালন করেন। আপনার স্ত্রীর মতামতের গুরুত্ব দেন। স্ত্রীকে যাচ্ছেতাইভাবে ট্রিট করবেন না। একটু গাই-রত-ওয়ালা পুরুষ হন, এমন কোনো কাজ করবেন না যাতে আপনার স্ত্রী-কন্যাকে এমন পরিস্থিতিতে পড়া লাগে যেটা ইসলাম এলাউ করে না। আপনার স্ত্রী-কন্যাকে ইসলামী শিক্ষা দিন, আল্লাহকে চেনান, রাসূলকে (স) চেনান। নারীকে নারী হিসেবে চেনান, তার ফিতরাতকে চেনান। তার যথাযথ মর্যাদা নিশ্চিত করুন, নয়তো আপনি নিজেই তাদেরকে জাহি-লি-য়া_তের দিকে ঠেলে দিলেন, এটা মাথায় রাখুন।

বোনেদের প্রতি আহ্বান, সচেতন হোন। নারী হিসেবে নিজেকে চিনুন। নিজের নারীত্বকে ভালোবাসুন, সম্মান করুন। নিজের মর্যাদাকে চিনুন, নিজের মর্যাদা রক্ষা করুন। ফেমি_নিস্ট-দের চক্করে পড়ে জীবনকে দুর্বিষহ বানাবেন না। দুনিয়ায় আপনি কোনো কম্পিটিশনে আসেননি। পুরুষ আপনার কম্পিটিটর নয়, আপনার সহযোগী। প্রাকৃতিক অবস্থানকে অস্বীকার করে অসুস্থ পৃথিবী তৈরি করবেন না।

লিখেছেনঃ আসিফ মাহমুদ

ছেলেকে বিয়ে দেবার পর কোনো কারণ ছাড়াই ছেলের মা ছেলের বউকে ‘প্রতিপক্ষ’ ভাবা শুরু করেন! একজন ছেলে বিয়ের পর তার মধ্যে স্বাভা...
25/05/2024

ছেলেকে বিয়ে দেবার পর কোনো কারণ ছাড়াই ছেলের মা ছেলের বউকে ‘প্রতিপক্ষ’ ভাবা শুরু করেন!

একজন ছেলে বিয়ের পর তার মধ্যে স্বাভাবিক পরিবর্তন আসবে। আগে হয়তো মা ঠিক করে দিতেন কী পরবে, কী পরবে না। এখন হয়তো সেই সাজেশন স্ত্রী দেয়। খাবার খাওয়ার ক্ষেত্রেও দেখা যায় ছেলে স্ত্রীর পছন্দকে গুরুত্ব দেয়।

ছেলে বাইরে থেকে আসলে বাজার নিয়ে আসে। সাথে হয়তো স্ত্রীর জন্য আইসক্রিম, চকলেট নিয়ে আসে। কোনো কোনো মা আড়চোখে তাকিয়ে দেখেন ছেলে স্ত্রীর জন্য কী নিয়ে আসছে।

এখনকার ছেলে-মেয়ে বিয়ের পূর্বে বাইরে রেস্টুরেন্টে খেতে যেতো বন্ধু-বান্ধবের সাথে।

স্বামীও চায় পরিবারের সবাইকে নিয়ে বাইরে যেতে। মা হয়তো বাইরের খাবার পছন্দ করেন না। একাধিকবার বলার পরও যাননি। ছেলে তার স্ত্রীকে নিয়ে বাইরে ঘুরতে যেতে চায়। মাকে জানিয়ে গেলে মা এমনভাবে প্রতিক্রিয়া দেখান যে, ছেলের এমন খরুচে স্বভাব তার পছন্দ হচ্ছে না। কথায় কথায় হয়তো বলেও ফেলেন।

আমাদের দেশে স্বাশুড়ি-বউমা এই শব্দ দুটো দ্বান্দ্বিক শব্দ হয়ে গেছে। বউমাও আস্তে আস্তে কর্তৃত্ব নিতে চায়, সুযোগ পেলে স্বামীকে কানপড়া দেয়। অথচ সে বুঝেশুনেই দেয় না, এমনি গল্প করে। এই কথাগুলো নিজের মা সম্পর্কে ছেলের মধ্যে কেমন প্রতিক্রিয়া তৈরি করবে তা সে বুঝেই না।

📌 বেশিরভাগ ছেলে বিয়ের পর দেখতে পায় তার মা বদলে গেছেন!

মা কখনো ছেলেকে বউয়ের ব্যাপারে কথা শুনায়, বউ কখনো মায়ের ব্যাপারে ছেলের ওপর বিরক্তি ঝাড়ে।

অর্থাৎ, এই জায়গায় এসে ছেলে দুই কানে দুজনের কথা শুনতে হয়!

ছেলে তখন কী করবে?

📍 ‘মুমিনের বিয়ে ভাবনা’ কোর্সে ডাক্তার শামসুল আরেফিন শক্তি ভাই এক্ষেত্রে একটি প্রাকটিকাল গাইডলাইন দেন।

ছেলে তার স্ত্রীকে বুঝাবে- “দেখো, তুমি তো শিক্ষিত, পড়ালেখা করেছো। মায়ের এই ব্যাপারগুলো একটু ইগনোর করো। মা কিছু বললে সামনাসামনি মেনে নাও। এতে আমাদের সবারই লাভ। ঝগড়া করে বা রাগ করে কিছু হবে না।”

আবার যদি দেখা যায় যে মায়ের আচরণ বাড়াবাড়ি পর্যায়ে চলে গেছে, যেটা স্ত্রীর সহ্যসীমা ছাড়িয়ে গেছে এবং খুব অযৌক্তিক কারণেই মা এগুলো করছেন, তখন ছেলে কখনোই মাকে বুঝাতে যাবে না। মাকে বুঝাতে গেলেই বিপত্তি বাঁধবে। যতো যাই হোক, বউমার ব্যাপারে ছেলের কাছে মা উপদেশ শুনতে চাইবে না।

এক্ষেত্রে ছেলে খুব ভালোভাবে কথা বলবে তার বাবার সাথে। বাবাও হয়তো এই অবস্থা পার করে এসেছেন। বাবাকে বুঝিয়ে বললে বেশিরভাগ বাবাই বুঝেন। তখন বাবা মাকে বুঝাবেন!

Address

Dhaka

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when TaQwa+ posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Videos

Share


Other Convenience Stores in Dhaka

Show All