16/06/2024
শেষ ১০ বছরে বিশ্বে জোরপূর্বক বাস্তুহারা ১২ কোটি মানুষ: জাতিসংঘ
১৬ জুন, ২০২৪
বিশ্বজুড়ে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত মানুষের সংখ্যা গত ১০ বছরে ১২ কোটিতে পৌঁছেছে। যুদ্ধ, নিপীড়ন, হিংস্রতা, মানবাধিকার লঙ্ঘনের মতো কারণগুলোর জন্য ৬৯ জনের মধ্যে ১ জন জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত বা ঘরবাড়ি ছাড়তে বাধ্য হচ্ছেন।
জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা (ইউএনএইচসিআর) জানিয়েছে, চলমান গাজা সংঘাত, ইউক্রেন যুদ্ধ, আফগানিস্তান সংকট এবং সুদানের গৃহযুদ্ধের কারণে বিশ্বজুড়ে শরণার্থীর সংখ্যা কয়েক গুণ বেড়েছে। সে হিসেবে বিশ্বব্যাপী কমপক্ষে ১১ কোটি ৭৩ লাখ মানুষ অর্থাৎ প্রতি ৬৯ জনে ১ জন জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত হচ্ছেন। এদের অনেকে আভ্যন্তরণীভাবে নিজ দেশেও বাস্তুচ্যুত। আর এই সংখ্যা চলতি বছরের প্রথম চার মাস বাড়তে থাকে এবং এপ্রিলের শেষ নাগাদ ১২ কোটিতে অতিক্রম করে।
ইউএনএইচসিআরের সবশেষ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত বছর রেকর্ডসংখ্যক মানুষ বাস্তুহারা হয়। যুদ্ধ-সহিংসতায় নিজ দেশ ও ঘর ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন প্রায় ১ কোটি ৯০ লাখ মানুষ।
ইসরাইল-গাজা সংঘাত, ইউক্রেন যুদ্ধ ও সুদান সংকটে লাখ লাখ উদ্বাস্তু নতুন করে যোগ হওয়ায় বিশ্ব জুড়ে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুতের সংখ্যা বেড়ে রেকর্ড ১২ কোটিতে পৌঁছেছে। এরমধ্যে বিশ্বের সবচেয়ে বড় বাস্তুচ্যুতি সংকটে রয়েছে সিরিয়া। দেশটিতে ঘরহারা মানুষের সংখ্যা ১ কোটি ৩৮ লাখ।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, এই সংখ্যা নির্দেশ করে যে নতুন এবং আগে থেকেই বিদ্যমান দীর্ঘস্থায়ী সংঘাতগুলোর সমাধান না হওয়ার কারণে এখন আরও বেশি পরিমাণে মানুষ বাস্তুচ্যুত হচ্ছে। আর এতে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন শরণার্থী বিষয়ক সংস্থার প্রধান ফিলিপ্পো গ্র্যান্ডি। তিনি বলেন, 'মানুষের মধ্যে সহিংসতা বাড়ছে। এতে বাস্তুচ্যুতের সংখ্যা হু হু করে বৃদ্ধি পাচ্ছে। ফলে লাখ লাখ মানুষ ঘরবাড়ি ছাড়া হচ্ছেন।' একইসঙ্গে, যুদ্ধ, নিপীড়ন, বৈষম্য, সহিংসতা ও জলবায়ু পরিবর্তনের মতো কারণগুলোকেও এজন্য দায়ী করেন জাতিসংঘের এই কর্মকর্তা।