-প্রারম্ভিকা-
বাংলাদেশের বাণিজ্যিক রাজধানী চট্টগ্রাম শহরের অদূরে কর্ণফুলি নদীর কূলঘেষে আনোয়ারা থানার রাঙ্গাদিয়ায় চিটাগাং ইউরিয়া ফার্টিলাইজার লিঃ-এর আবর্তে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সভানেত্রী গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা ০১/০৫/২০০১ইং তারিখে ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের মাধ্যমে ডিএপি ফার্টিলাইজার প্রজেক্ট কার্যক্রমের সূচনা করেন । পরবর্তীতে ১২/০৯/২০০৬ইং তারিখে শুভ উদ্
ভোধনের মধ্যে দিয়ে বার্ষিক ৫,২৮,০০০ মেঃ টন উৎপাদন ক্ষমতার ডিএপি ফার্টিলাইজার কোম্পানী লিঃ আনুষ্ঠানিকতার সাথে বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদন কার্যক্রম আরম্ভ হয় ।
গত ০৬/০৬/২০০৬ইং তারিখ টিআইসিআই থেকে ইনপ্লান্ট ট্রেনিং-এ প্রেরিত কিছু সংখ্যক শিক্ষানবীশ শ্রমিকের দ্বারা বাণিজ্যিক উৎপাদনে যাওয়া এই কারখানাটিতে বিসিআইসি’র অন্যান্য কারখানার তুলনায় শ্রমিক কর্মচারীদেরকে মৌলিক অধিকারসহ নানান দিক (আর্থিক, সামাজিক, আবাসিক, জীবনমান ) সুবিধা থেকে কর্তৃপক্ষ বঞ্চিত করতে থাকেন । কর্তৃপক্ষের শোষণ বঞ্চনা থেকে পরিত্রান এবং উত্তরনের জন্য ৮৬ জন শ্রমিক কর্মচারীকে সদস্য করে জনাব মোঃ রুকুন্নদ্দিন এবং জনাব মোঃ মেজবাহ উদ্দিন আহমেদ এর নের্তৃত্ত্বে নিম্নবর্ণিত ৮ সদস্য বিশিষ্ট প্রতিষ্ঠাতা কার্যকরী কমিটির সমন্বয়ে গঠন করা হয় “ডিএপিএফসিএল শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়ন, রেজিঃ নং - চট্ট-২৪৭২” ।
প্রতিষ্ঠাতা কার্যকরী কমিটি:-
১। মুহাম্মদ রুকুন্নুদ্দিন, সভাপতি ।
২। মোঃ বাহার উদ্দিন, কার্যকরী সভাপতি ।
৩। মেসবাহ উদ্দিন আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক ।
৪। মোঃ আনোয়ার হোসেন, যুগ্ম সম্পাদক ।
৫। মোঃ জিয়াউর রহমান, সহ সাধারণ সম্পাদক ।
৬। মোঃ কিয়া মুদ্দিন, সাংগঠনিক সম্পাদক ।
৭। মোঃ ইকবাল হোসেন, দপ্তর সম্পাদক ।
৮। মোঃ জসীম উদ্দিন, অর্থ সম্পাদক ।
-২য় কার্যকরী কমিটি-
ডিএপিএফসিএল শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের প্রতিষ্ঠাতা নের্তৃবৃন্দের পরিচালনায় শ্রমিক কর্মচারীগন আলোর মুখ না দেখলেও ট্রেড ইউনিয়নের অঙ্কুরোদগম ঠিকই হয়েগিয়েছিল । তারই ধারবাহিকতায় ০৭/০২/২০০৯ইং তারিখ বিনা প্রতিদ্বন্দিতায় নির্বাচিত নিম্নবর্ণিত কার্যকরী কমিটি ইউনিয়নের দায়িত্বভার গ্রহন করেন ।
কার্যকরী কমিটি:-
১। মুহাম্মদ রুকুন্নুদ্দিন, সভাপতি ।
২। মোঃ কিয়াম উদ্দিন, কার্যকরী সভাপতি ।
৩। মোঃ বাহার উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক ।
৪। এ কে এম গোলাম কবির, যুগ্ম সম্পাদক ।
৫। মোঃ জসীম উদ্দিন, সহ-সাধারণ সম্পাদক ।
৬। মোঃ জাকির হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক ।
৭। মোঃ ইকবাল হোসেন, দপ্তর সম্পাদক ।
৮। মাসুদ জাহাঙ্গীর, অর্থ সম্পাদক ।
৯। মোঃ আক্তারুজ্জামান, কার্যনির্বাহী সদস্য ।
১০। জাহেদুল আলম, কার্যনির্বাহী সদস্য ।
উক্ত কার্যকরী কমিটি’র সাধারণ সম্পাদক জনাব বাহার উদ্দিন - এর বলিষ্ঠ নের্তৃত্ব’র কারণে ডিএপিএফসিএল শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়ন, রেজিঃ নং–২৪৭২ মাথা তোলে দাড়ায় । তিনি বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ শ্রমিক কর্মচারী ফেডারেশন, রেজিঃ নং-বি-২১৪৪ প্রতিষ্ঠায় জনাব এম কামাল উদ্দিন, সভাপতি, টিএসপিসিএল শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়ন-কে পূর্ণ সহযোগীতা করেন এবং উক্ত ফেডারেশনের আন্তরজাতিক বিষয়ক সম্পাদক পদে নির্বাচত হন । ফেডারেশনের সুযোগ্য সভাপতি জনাব এম কামাল উদ্দিনের একান্ত সহযোগীতায় এবং জনাব বাহার উদ্দিনের বলিষ্ঠ নেতৃত্বে ডিএপিএফসিএল-এ দীর্ঘ্য দিনের প্রতিক্ষিত প্রজেক্ট এলাউন্স, উৎসাহ বোনাস, শ্রমিক কর্মচারীদের প্রমোশনসহ টুকিটাকি নানান সুবিধা আদায় করতে সক্ষম হন । এ সময় উক্ত কার্যকরী কমিটিতে জনাব বাহার উদ্দিনের সাথে জনাব মাসুদ জাহাঙ্গীর, অর্থ সম্পাদক; জনাব মোঃ ইকবাল হোসেন, দপ্তর সম্পাদক এবং জনাব মোঃ জাকির হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক শ্রমিকদের অধিকার আদায়ের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করেন ।
-৩য় কার্যকরী কমিটি-
গত ২৯/০১/২০১২ ইং তরিখে ডিএপিএফসিএল-এর শ্রমিক কর্মচারীগন বিপুল উৎসাহ-উদ্দিপনা, আশা-আকাঙ্খা নিয়ে প্রত্যেক্ষ ভোটে নিম্নোক্ত কার্যকারী কমিটি নির্বাচিত করেন ।
কার্যকরী কমিটি:-
১। মোঃ ইছমাইল খাঁন, সভাপতি ।
২। মোঃ আবু জাহের, কার্যকরী সভাপতি ।
৩। মোঃ আনোয়ার শাহাদাৎ, সাধারণ সম্পাদক ।
৪। মেহেদী হাসান, যুগ্ম সম্পাদক ।
৫। মোঃ রাকিবুজ্জামান, সহ-সাধারণ সম্পাদক ।
৬। মোঃ সাখাওয়াত হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক ।
৭। মোঃ আবছার, দপ্তর সম্পাদক ।
৮। মোঃ নজরুল ইসলাম, অর্থ সম্পাদক ।
৯। মোঃ সাদিকুর রহমান, কার্যনির্বাহী সদস্য ।
১০। মোঃ নুর আলম, কার্যনির্বাহী সদস্য ।
উক্ত কমিটি’র সভাপতি জনাব ইছমাইল খাঁন এবং সাধারণ সম্পাদক জনাব আনোয়ার শাহাদাৎ-এর অদূরদর্শীতা, ট্রেড ইউনিয়ন সম্পর্কে অজ্ঞতা, উপর্যুপরি ভুল সিদ্ধান্ত এবং নিজেদের মধ্যে সমন্বয়হীনতা’র দুরুন ইউনিয়নের পুরো কার্যক্রম মূখ থোবড়ে পরে । এছাড়াও তারা লোভ লালসার বসবর্তী হয়ে শ্রমিক কর্মচারীর নানাবিধ মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত করে ঘুষ, চাঁদাবাজী, জোর –জুলুম, অত্যাচার-নিপীড়ন করতে থাকেন । তারা ক্ষমতার অপব্যবহার করে শ্রমিক কর্মচারীদের নানাভাবে হয়রানীতে ফেলেন । এমত পরিস্থিতিতে শ্রমিক কর্মচারীগন কিংকর্তব্যবিমূঢ় অবস্থার মধ্যে পরেন এবং সুযোগ্য নেতৃত্বের অনুসন্ধানে ভিতরে ভিতরে প্রস্তুতি নিতে শুরু করে ।