14/07/2023
"Newer Dengue Variant"
Earlier we used to say that if you get dengue you have high temperature, body ache, sore throat, headache or eye pain. The fever subsides on its own within four to five days. During this time platelets decrease and there is a risk of bleeding. Bleeding from the root of the teeth or from the nose is possible while brushing.
But this time the picture is very different. It appears that the temperature of the fever is not increasing much, and the pain in the body is not so much. Common fever, cold, cough, headache, sore throat. But after one or two days the condition of the body is deteriorating. The patient has no pulse, low blood pressure, no urination, kidney problems. Even the patient is fainting! This is called dengue shock syndrome. It's the worst!
Dengue shock syndrome is one of the reasons for the high number of deaths in dengue. Another reason for this is that most of these patients have been infected with dengue before. Maybe they thought it was a slight fever and cough and did not pay much attention to it. As a result, those who are infected for the second, third or fourth time are affected by this dengue shock syndrome. On the other hand, the type and character of mosquitoes is also changing.
At one time I used to say that Aedes mosquitoes live only in clean and clear water, but now it appears that mosquitoes can lay eggs in dirty water as well. Before I knew, Aedes mosquito only bites during the day. So I used to tell patients to sleep with mosquito nets during the day. But now I see, this mosquito can bite both day and night. Previously, I generally knew that dengue is associated with monsoon or rainfall. Now I see that dengue can occur all year round. For example, the outbreak of dengue has been noticed throughout the year since January. Even in winter its effects have been seen. Although it has to do with rainfall.
But it lays eggs only if there is stagnant water somewhere. That is why it can be said that dengue is changing its symptoms and mosquitoes are changing their character. Since dengue and corona are happening at this time, only one advice; If you have fever-cold-headache, do the dengue test quickly. The sooner it is caught, the sooner complications can be avoided by consulting a doctor. Neglecting this may lead to dengue shock syndrome.Most of the time we have nothing to do. Then he had to be admitted to the ICU. Moreover, it does not have any specific anti-virus or medicine.
As a result, one must be careful to avoid this danger and nothing can be neglected. And if symptoms of dengue appear, more liquid food should be consumed. For example, you should eat more water, cans, and syrups. If you have fever or pain, only take Paracetamol. Do not take any other painkillers, do not buy any antibiotics yourself. Take other medicines only if the doctor advises. Those who are old or have other diseases should be hospitalized and treated.
Professor Dr. ABM Abdullah
Author: Emeritus Professor and Prime Minister's personal physician
আমরা আগে বলতাম ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হলে উচ্চ তাপমাত্রা থাকে, শরীর ব্যথা, গিরায় গিরায় ব্যথা, মাথা ব্যথা বা চোখে ব্যথা থাকে। চার-পাঁচ দিনের মধ্যে জ্বর আপনাআপনি কমে যায়। এ সময় প্ল্যাটিলেট কমে এবং রক্তক্ষরণের ঝুঁকি থাকে। ব্রাশ করতে গিয়ে দাঁতের গোড়া থেকে বা নাক থেকে রক্তক্ষরণের সম্ভাবনা থাকে।
তবে এবারের চিত্রটা অনেকটাই ভিন্ন। দেখা যাচ্ছে, জ্বরের তাপমাত্রা খুব বাড়ছে না, শরীরের ব্যথাও তেমন হচ্ছে না। সাধারণ জ্বর, সর্দি, কাশি, মাথা ব্যথা, গলা ব্যথা। অথচ এক দুইদিন পর শরীরের অবস্থার অবনতি ঘটছে। রোগীর পাল্স পাওয়া যায় না, ব্লাড প্রেসার কমে যায়, প্রস্রাব হয় না, কিডনিতে সমস্যা দেখা দেয়। এমনকি রোগী অজ্ঞানও হয়ে যাচ্ছে! এটাকে বলে ডেঙ্গু শক সিনড্রোম। এটা সবচেয়ে ভয়াবহ!
এবার ডেঙ্গুতে মৃত্যুর সংখ্যা বেশি হওয়ার অন্যতম কারণ হলো ডেঙ্গু শক সিনড্রোম। এর আরেকটি কারণ হলো, এসব রোগীর মধ্যে বেশিরভাগই এর আগেও ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছে। হয়তো তারা আগে সামান্য জ্বর, কাশি ভেবে বিষয়টিকে তেমন গুরুত্ব দেয়নি। ফলে যাদের দ্বিতীয়, তৃতীয় বা চতুর্থবার আক্রান্ত হচ্ছে তারা এই ডেঙ্গু শক সিনড্রোম দ্বারা আক্রান্ত হচ্ছেন। অন্যদিকে, মশার ধরন ও চরিত্রও কিন্তু পাল্টে যাচ্ছে।
এক সময় বলতাম, এডিস মশা শুধুমাত্র পরিষ্কার ও স্বচ্ছ পানিতে হয়, এখন দেখা যাচ্ছে নোংরা পানিতেও মশা ডিম পাড়তে পারে। আগে জানতাম, এডিস মশা শুধু দিনে কামড়ায়। তাই রোগীদের বলতাম, দিনের বেলা মশারি টানিয়ে ঘুমাতে। কিন্তু এখন দেখি, এ মশা দিনে-রাতে দুই সময়েই কামড়াতে পারে। আগে সাধারণত জানতাম বর্ষার বা বৃষ্টিপাতের সঙ্গে ডেঙ্গুর সম্পর্ক আছে। এখন দেখি সারাবছরই ডেঙ্গু হতে পারে। যেমন এবার জানুয়ারি থেকে সারা বছরই ডেঙ্গুর প্রকোপ লক্ষ্য করা গেছে। এমনকি শীতকালেও এর প্রভাব দেখা গেছে। যদিও বৃষ্টিপাতের সঙ্গে এর সম্পর্ক আছে।
তবে কোথাও জমা পানি থাকলেই কিন্তু এটি ডিম পাড়ে। সে কারণে বলাই যায় যে, ডেঙ্গু তার লক্ষণ বদলাচ্ছে এবং মশা তার চরিত্র বদলাচ্ছে। যেহেতু এই সময় ডেঙ্গু হচ্ছে এবং করোনাও হচ্ছে তাই একটাই উপদেশ; জ্বর-ঠান্ডা-মাথা ব্যথা দেখা দিলে দ্রুত ডেঙ্গুর টেস্টটা করিয়ে ফেলবেন। যত দ্রুত ধরা পরবে, তত দ্রুত ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে জটিলতাগুলো এড়ানো সম্ভব। এ নিয়ে অবহেলা করলে ডেঙ্গু শক সিনড্রোমে ভোগার সম্ভাবনা রয়েছে। তখন অনেক সময়ই আমাদের কিছু করা থাকে না। তখন আইসিইউতে ভর্তি হতে হয়। তাছাড়া এর তো কোনো নির্দিষ্ট এন্টি ভাইরাস বা ওষুধ নাই।
ফলে এই বিপদ থেকে রক্ষা পেতে সতর্ক থাকতে হবে এবং কিছুতেই অবহেলা করা যাবে না। আর ডেঙ্গুর লক্ষণ দেখা দিলে বেশি করে তরল খাবার খেতে হবে। যেমন পানি, ডাব, শরবত বেশি বেশি খেতে হবে। সাথে জ্বর উঠলে বা ব্যথা থাকলে শুধু প্যারাসিটামল খেতে হবে। অন্য কোনো ব্যথানাশক খাবেন না, নিজেরা কোনো এন্টিবায়োটিক কিনে খাবেন না। ডাক্তার পরামর্শ দিলে তবেই অন্য ওষুধ খাবেন। যারা বৃদ্ধ বা যাদের অন্যান্য রোগ আছে, তাদের হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নেয়া উচিত।
অধ্যাপক ডা.এবিএম আবদুল্লাহ
লেখক : ইমেরিটাস অধ্যাপক ও প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক